আন্দোলনকালে রাষ্ট্র শিশুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
আপলোড সময় :
২৯-০৯-২০২৪ ০৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৯-০৯-২০২৪ ০৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন
আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। ৩ আগস্ট, কুমিল্লা। ফাইল ফটো
বাংলা স্কুপ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে রাষ্ট্র শিশুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন শিশুদের মৃত্যুর ঘটনাগুলো দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিলো সকলকে নিরাপত্তা প্রদান করা, যা করতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত শিশু অধিকার ও শিশুশ্রম বিষয়ক থিমেটিক কমিটির সভায় এসব বক্তব্য উঠে আসে। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহত শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম নিরসন, আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুর প্রাণহানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত সকলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাঁদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। নিহত শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারসমূহকে ক্ষতিপূরণ ও সার্বিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকরণ ও নিরাপত্তা বলয়ে আনতে একটি বোর্ড গঠনসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা পেশ করেন আলোচকগণ।
শিশুদের অধিকার সুরক্ষা, একটি স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার নিশ্চয়তা ও শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করা হয় সভায়। এ সময় শিশুদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল ও নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার প্রতিরোধ করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে নয়, বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখতে কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানান আলোচকবৃন্দ।
আলোচনাকালে প্রধান অতিথি হিসেবে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন শিশুর মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা পৃথকভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনাপূর্বক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে শিশু সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আহত শিশুদের ব্যক্তি ভিত্তিক তালিকা ও বিবরণ প্রস্তুত করে অতিসত্বর তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এবং নিহতদের পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে সহায়ক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. তানিয়া হক। উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত সদস্য কংজরী চৌধুরী, একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ইউনিসেফের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি, প্লান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি, সেইভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধি ও ইনসিডিন বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শিশু প্রতিনিধি এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। সূত্র : বাসস।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স